অস্থায়ী মান্থাদের নৌকাঘরে রাতে জ্বলছে সৌরবিদ্যুতের আলো, যে আলো বদলে দিয়েছে যাযাবর মান্থাদের জীবন। তবে আজও তারা নাগরিক সুবিধাবঞ্চিত। তারা সব ধরনের নাগরিক সুবিধা চায়।

দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাছ ধরে বিক্রি করে জীবনযাপন করে এরা। আগে পালতোলা নৌকায় করে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় চলাচল করত। মাসের পর মাস তারা নৌকায় থাকত। এভাবে চলত তাদের জীবন-জীবিকা। এখন আর নদীও নেই, পালতোলা নৌকাও নেই, নদীর দু’কূল ছাপিয়ে পানিও নেই। তাই তারা পেশাগত কাজের তাগিদে শুকনো মৌসুমে এখন দেশের বিভিন্ন জেলায় ঝুপড়িঘরে থেকে পেশাগত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

বরিশালের বিভিন্ন এলাকার মান্থাদের বসবাস রয়েছে। সেখানে দিনশেষে সন্ধ্যা হলে তাদের অস্থায়ী ঝুপড়িঘরে জ্বলে উঠছে সৌরবিদ্যুতের আলো। চলছে টেলিভিশন, চার্জ হচ্ছে মোবাইল।

মান্থদের সর্দার রবিউল ইসলাম জানান, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জীবনধারার পরিবর্তন হচ্ছে। পেশা হিসেবে মাছ ধরে আয়-রোজগার করলেও জীবনকে আলোকিত করতে ও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগাতে নিজেদের অর্থায়নে সৌর প্যানেল ব্যবহার করছে। ডেরায় রাত্রীকালীন নিরাপত্তা, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া, মোবাইল ফোন চার্জিং সুবিধা, সোলার টিভি ও সোলার ফ্যান ব্যবহার করা হচ্ছে।