**মা ইলিশ রক্ষায় জরুরি ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা!!

সময়কাল: ৪ অক্টোবর ২০২৫ — ২৫ অক্টোবর ২০২৫ নিষেধাজ্ঞার আওতায়: আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুদ**

বাংলাদেশ সরকার প্রতিবছরই ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় একটি সময়সীমার জন্য মাছ ধরা এবং সম্পর্কিত সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। এই সময় ইলিশ মাছ গভীর নদীতে ডিম ছাড়ে, তাই এটি সংরক্ষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়।

❗ নিষিদ্ধ কার্যক্রম:

ইলিশ ধরা (জীবিত বা মৃত)

পরিবহন ও বিপণন (বাজারে বিক্রি বা সংগ্রহ)

মজুদ ও সংরক্ষণ

ইলিশ শিকার সংশ্লিষ্ট সকল সরঞ্জাম ব্যবহারে বিধিনিষেধ

✅ অবশ্য করণীয়:

স্থানীয় মৎস্য অফিস (DFO), উপজেলা প্রশাসন বা ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করুন।

সরকারি সহায়তা, রেশন বা বিকল্প কর্মসংস্থান সংক্রান্ত তথ্য জেনে নিন।

এলাকার সরকারি ও বেসরকারি সহযোগী সংস্থার সাথে যোগাযোগ রাখুন।

মৎস্যজীবী পরিবার ও নারীদের জন্য পরামর্শ:

এই ২২ দিনের বিরতি আপনার জীবিকায় সাময়িক প্রভাব ফেলতে পারে, তবে এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ। মা ইলিশের নিরাপদ প্রজনন হলে আগামী বছর ইলিশের পরিমাণ এবং আকার—উভয়ই বৃদ্ধি পাবে।

💡 বিকল্প আয় বা প্রস্তুতির কিছু উপায়:

মাছ ধরার সরঞ্জাম (জাল, নৌকা) মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ

মাছ শুকানো বা ছোট মাছ প্রক্রিয়াকরণ

হস্তশিল্প বা সেলাই কাজ

স্থানীয় রেশন বা সরকারি কর্মসূচির সুযোগ নেওয়া

কেন এই নিষেধাজ্ঞা গুরুত্বপূর্ণ?

ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ এবং আমাদের অর্থনীতির, সংস্কৃতির ও খাদ্য নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রতি বছর মা ইলিশ যখন নদীতে ডিম ছাড়ে, তখন তাদের শিকার করলে পরবর্তী প্রজন্ম ধ্বংস হয়। তাই এই ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা মানা মানে ভবিষ্যতের জন্য একটি টেকসই মাছের মজুদ নিশ্চিত করা।

সবাই মিলে করবো সংরক্ষণ, ফিরবে ইলিশ ভরপুর ভান্ডার!

ইলিশ রক্ষায় আপনার সচেতন অংশগ্রহণই পারে এই ঐতিহ্যবাহী মাছকে বাঁচাতে। নিজে মেনে চলুন এবং আশপাশের সবাইকে উৎসাহিত করুন।

📞 আরো তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন:

স্থানীয় মৎস্য অফিস / উপজেলা প্রশাসন / ইউনিয়ন পরিষদ বা সরাসরি মান্থা ওয়েবসাইট এ বিস্তারিত জানুন।