বরিশালের নদীবেষ্টিত অঞ্চলে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে নৌকাতেই গড়ে উঠেছে মান্থাদের জীবন। এই নৌকাই তাদের আশ্রয়, এই নৌকাই তাদের সংসার।

মান্থা নারীরাই পরিবারকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন সমানতালে—নৌকা চালানো থেকে শুরু করে মাছ ধরা, সব দায়িত্বই ভাগ করে নেন তারা। তবুও সমাজের মূলধারা থেকে তারা এখনো বঞ্চিত।

নদীর জলে ভেসে থাকা মান্থাদের স্বপ্ন খুব ছোট

**একটি টুকরো জমি

শিশুদের পড়াশোনার সুযোগ

নিরাপদ জীবন

তাদের এই সংগ্রামী জীবন ও অবিচল মানসিকতাই আমাদের অনুপ্রেরণা।

মান্থাদের জীবন বাস্তবতা

স্থায়ী জমি নেই — তারা নৌকায় ভাসমান জীবন কাটায়, যেখানে ঝড়-বন্যা এলেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয়।

শিশুদের শিক্ষা বঞ্চনা — নৌকায় থেকে নিয়মিত স্কুলে যাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

জীবিকার সংকট — মাছ ধরা তাদের প্রধান জীবিকা, কিন্তু নদীতে মাছ কমে যাওয়ায় দারিদ্র্য আরও গভীর হচ্ছে।

নারীর সংগ্রাম — সংসার, সন্তান, মাছ ধরা, সব দায়িত্বই মান্থা নারীদের কাঁধে।

তাদের স্বপ্ন আসলে খুব ছোট— এক টুকরো জমি, নিরাপদ আশ্রয়, আর শিশুদের জন্য লেখাপড়ার সুযোগ।

আশার আলো তাদের জীবনযাপন কষ্টকর হলেও মান্থারা হার মানেনি। নদীর স্রোতের মতোই তারা এগিয়ে চলেছে প্রতিদিনের সংগ্রামে। তাদের হাসি, তাদের দৃঢ়তা আমাদের জন্য এক অনন্য অনুপ্রেরণা।

আমরা বিশ্বাস করি— যদি সমাজের মূলধারার মানুষ, সরকার ও উন্নয়ন সংগঠনগুলো এগিয়ে আসে, তবে মান্থাদের জীবনেও আলো ফুটবে।

আসুন, আমরা সবাই মিলে মান্থাদের পাশে দাঁড়াই। কারণ মান্থাদের হাসি মানেই—নদীর ঢেউয়ে টিকে থাকার জয়গান।