১. শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন

প্রাথমিক ও প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষা: নারীদের জন্য বিকল্প শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।

কারিগরি প্রশিক্ষণ: মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ, শুকনা মাছ উৎপাদন, সেলাই, হস্তশিল্প, ক্ষুদ্র ব্যবসা ইত্যাদিতে প্রশিক্ষণ।

ডিজিটাল শিক্ষার সুযোগ: অনলাইন বা মোবাইলভিত্তিক শিক্ষার ব্যবস্থা।

২. স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেবা

স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপন: নদীপথে চলমান ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক বা বোট-ক্লিনিক।

নারীস্বাস্থ্য সচেতনতা: মাসিক স্বাস্থ্য, মাতৃস্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে সচেতনতা কর্মসূচি।

পুষ্টি কর্মসূচি: শিশু ও নারীদের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ।

৩. অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন

মাইক্রোক্রেডিট ও সঞ্চয় কর্মসূচি: নারীদের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ ও সঞ্চয় গ্রুপ।

বিকল্প আয়ের সুযোগ: কৃষিপণ্য সংরক্ষণ, হাঁস-মুরগি পালন, ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনা।

মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণ: মাছ বিক্রি ও বাজারজাতকরণে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো।

৪. নিরাপদ আবাসন ও স্যানিটেশন

টেকসই বাসস্থান: ঝড়-বন্যা সহনশীল ঘর ও আশ্রয়কেন্দ্র।

নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন: নৌকা বা নদীর তীরে নিরাপদ টয়লেট ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা।

৫. সামাজিক স্বীকৃতি ও অধিকার

নারীর নেতৃত্ব বৃদ্ধি: নারী জেলেদের সংগঠন ও সমবায় গঠন।

আইনগত সহায়তা: বাল্যবিবাহ রোধ, নির্যাতন প্রতিরোধে সচেতনতা ও সহায়তা।

সামাজিক স্বীকৃতি: স্থানীয় পর্যায়ে তাদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া।

৬. জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ মোকাবিলা

দুর্যোগ প্রস্তুতি প্রশিক্ষণ: বন্যা, ঝড়ের সময়ে নিরাপদ আশ্রয় ও জীবনরক্ষার কৌশল।

জলবায়ু সহনশীল কর্মসূচি: জীবিকা বহুমুখীকরণ ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার।