''মৎস্যজীবী নারীদের, বিশেষ করে মান্থা সম্প্রদায়ের, তথ্য বৃদ্ধি এবং অন্তর্ভুক্তি'' সহযোগিতায়: ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড ও আর্টিকেল ১৯, অর্থায়নে: ইউরিপিয়নান ইউনিয়ন। বাস্তবায়নে লীড অর্গানাইজেষশন: চন্দ্রদ্বীপ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি , সহযোগি সংস্থা; ৭১.কম এবং সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা (সাস)। কহিনুর বেগম স্বামীর নাম: বাসেদ হাওলাদার গ্রাম: চরবাড়িয়া, ডাকঘর: চরবাড়িয়া বরিশাল সদর-৮২০০, বরিশাল। কহিনুর বেগম একজন মহিলা জেলে। ষোল বছর বয়সে তার বিয়ে হয়। অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ার কারণে তার দুটি সন্তান জন্মের সময় মারা যায়।তার স্বামী বেকার এবং এই পরিস্থিতিতে সে আবার গর্ভবতী হয়। পারিবারিক পরিস্থিতি ভালো নয় এবং আয় রোজগার নেই। আগত সন্তানের কারণে তার অনেক খরচের প্রয়োজন হয়। তারপর, কহিনুর বেগমের পরামর্শে, সে এবং তার স্বামী তাদের নিজস্ব ছোট পুকুরে মাছ চাষ করার সিদ্ধান্ত নেয়। পুকুরে মাছ মজুদ করা, মাছ খাওয়ানো, মাছের যত্ন নেওয়া, মাছ ধরা এবং বিক্রি করা সহ সবকিছুই কহিনুর বেগম নিজেই করতেন। এভাবেই তিনি তার পরিবার পরিচালনা করতেন এবং আশার আলো দেখতে শুরু করেন । বর্তমানে পরিবারে কোন অভাব অনটন নেই। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে সেই সন্তানেরা এখন তাদের শিক্ষাজীবন শেষ করার পর স্বাবলম্বী।

কহিনুর বেগমের মাছ চাষের জন্য সমস্যা হল যে তিনি মাছ চাষের কোনও প্রশিক্ষণ পাননি। মানুষের কাছে জিজ্ঞাসা করে সে এতদিন মাছ চাষ করতো। তাই, তিনি আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ কিভাবে করতে করতে হয় জানতেন না।

''মৎস্যজীবী নারীদের, বিশেষ করে মান্থা সম্প্রদায়ের, তথ্য বৃদ্ধি এবং অন্তর্ভুক্তি'' প্রকল্প শুরু হওয়ার পর, আমরা তাকে আমাদের প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করেছিলাম এবং তিনি আমাদের উঠান বৈঠক সহ বিভিন্ন কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে খুব খুশি হয়েছিলেন এবং আধুনি পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা শুর করেন। বর্তমানে এখন তার আহগর তুলনায় বেশী মাছ উৎপাদন হয়।

তবে কহিনুর বেগমের মতো আরও অনেক মহিলা জেলে আমাদের কাছে দাবী রাখেন যদি তাদের মাছ চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়, তাহলে তারা আরও ভালোভাবে মাছ চাষ করতে পারবে।